আবারও সিলেট তারাপুর চা বাগানের, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে দোকানকোঠা নির্মাণের অভিযোগ
মাহবুব জয়নুল মাহবুব জয়নুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের আলোচিত দেবোত্তোর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দীর্ঘ ২৫ বছর শিল্পপতি রাগীব আলীর দখলে ছিল। ২৫ বছর পর ২০১৬ সালে আদালতের নির্দেশে সেবায়েত পংকজ গুপ্তকে ৪২২ একর আয়তনের এই চা বাগান বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সিলেটের জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ সদস্য বিশিষ্ট হিন্দু সেবায়েত কমিটি গঠন করার পর ও সম্প্রতি ফেরদৌস আহমদ ও কয়েকজন ভুমিখেকো চা বাগানের অসংখ্য চাগাছ ও বাগানের বড় বড় গাছ কেটে ৩ টি টিনশেড দোকানকোটা করেন কোটি টাকা শতক মুল্যের এই জমিতে।
শুধু তাই নয় ভুমি খেকো এই ফেরদৌস সুবিদবাজার বনকলাপাড়ায় তারাপুর চা বাগানের জমি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জনৈক ফেরদৌস রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে গেটে অবস্থিত তারাপুর চা বাগানের এই কোটি টাকা শতক মুল্যের জমির একাধিক প্লটের অবৈধ মালিক। সেখানে রয়েছে বহুতল ভবনও।
দেবোত্তর সম্পত্তিতে দোকানকোটা নির্মাণের কথা জানতে চাইলে ফেরদৌস আহমদ ও সহযোগীরা তা অস্বীকার করেন। কিন্তুু চা গাছ কেটে দোকান কোটা নির্মানের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে।
তারাপুর বাগানের ম্যানেজার রিংকু চক্রবর্ত্তীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজ হেফাজতের হরতাল ও সনাতন ধর্ম্যালম্বীদের দোল পূর্ণিমা থাকায় এ সুযোগে ফেরদৌস আহমদ ও সহযোগীরা শ্রমিক লাগিয়ে ইটের ওয়াল তুলে দেয়, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেই ও বাগান সেবায়েত কমিটিকে অবগত করি। এ বিষয়ে সেবায়েত কমিটি ব্যবস্থা নেবে।